শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
উদযাপিত হচ্ছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ‘শ্মশান দিপালী’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত, সড়ক অবরোধ-অগ্নিসংযোগ বরিশালে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ন্যায্যমূল্যের দোকান প্র‍য়াত স্বজনদের স্বরনে কলাপাড়ায় শ্মশান দিপালী উৎসব পালিত আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের জন্য যুবদলের দোয়া মুনাজাত কলাপাড়ায় জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে জেলেকে মারধর পটুয়াখালীতে সাবেক আ’লীগ ও বিএনপি করা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে, সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ৫ জন অনিয়মই যেন নিয়ম চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বি এন পির প্রতিবাদ সমাবেশ গলাচিপায় গনআধিকার পরিষদের সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘এইচপিভি’ টিকা প্রদান যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাউফলে জামায়াতে ইসলামীর গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সড়কে নিরাপত্তায় নতুন আইনের দাবি বরিশালে কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা
সার্জারি বিভাগের সফল অস্ত্রোপচার ৫০ কেজি ওজনের রোগীর পেট থেকে ১২ কেজি ওজনের বিরল টিউমার অপসারণ

সার্জারি বিভাগের সফল অস্ত্রোপচার ৫০ কেজি ওজনের রোগীর পেট থেকে ১২ কেজি ওজনের বিরল টিউমার অপসারণ

Sharing is caring!

শামীম আহমেদঃ

৫০ কেজি ওজনের রোগীর পেট থেকে ১২ কেজি ওজনের বিরল টিউমার অপসারণ করলো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা।

(৩০) জুন রোববার প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে রেট্রো পেরিটোনিয়াল নামের টিউমারটি অপসারণ করা হয়। বর্তমানে ৪৫ বছর বয়সী রোগী কামাল হোসেন সুস্থ আছেন। সফল এই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জি. এম. নাজিমুল হক।

 

রোগীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মৌরিন বেগম জানান, গত দুই বছর পূর্বে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামের রেডিও মেকার হিসেবে পরিচিত মো. কামাল হোসেন পেটে ব্যথা শুরু হয়।

তখন অর্থের অভাবে গ্রামের হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। পরবর্তীতে হোমিও চিকিৎসক তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। গত ২২ জুন তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ১ নং ইউনিটে অধ্যাপক ডা. ডা. জি. এম. নাজিমুল হক’র তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি হন।

খালাতো ভাই মো. জাহিদ হোসেন জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে দুই সন্তানের জনক মো. কামাল হোসেনকে ভর্তির পর এখানকার চিকিৎসকরা যতœ সহকারে তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর প্রয়োজনীয় ঔষধ ছাড়া তেমন কোন খরচ ছাড়াই সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। রোগী বর্তমানে অন্য অপারেটিভে আছেন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম তলায় সার্জারি অপারেশন থিয়েটারে বিরল এই টিউমারের সফল অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জি. এম. নাজিমুল হক। অস্ত্রোপচারের টিমে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রদিব কুমার কর্মকার, সহকারী অধ্যাপক ডা. গ্রিন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. অনুপ কুমার সরকার ও ডা. মো. হোসাইন শাওন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. বায়েজীদ হোসেনসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

সার্জারি বিভাগের ১ নং ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. অনুপ কুমার সরকার বলেন, রোগী কামাল হোসেন পেট ফুলা, পেটে ব্যথা, খাবারে অনীহা ও দিনে দিনে ওজন কমে যাওয়া সমস্য নিয়ে ভর্তি হন। তখন তার পেটে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় তার পেটে বড় সাইজের রেট্রো পেরিটোনিয়াল নামের টিউমার রয়েছে। তখন ৪৫ বছর বয়সি এই রোগীর ওজন ছিল মাত্র ৫০ কেজি। রোগীর কাছে অপারেশনটি ছিল খুবই জটিল। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে এই অপারেশনে।

সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রদিব কুমার কর্মকার বলেন, রোববার সকালেই রোগী কামাল হোসেন’র অস্ত্রোপচার শুরু হয়। তার পেট কেটে দেখা যায় একটি বড় আকারে টিউমার পেটের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। দীর্ঘক্ষণ অপারেশনের পর প্রায় ১২ ওজনের রেট্রো পেরিটোনিয়াল টিউমারটি অপসারণ করা হয়।

সফল এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়া শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জি. এম. নাজিমুল হক বলেন, রোগীর পেটের চারপাশে টিউমারটি ছড়িয়ে ছিল।

বিশেষ করে তার পেটের ওপরের অংশ থেকে শুরু করে নীচ পর্যন্ত টিউমার বিস্তৃত ছিল। আমরা রোগীর খাদ্যনালি সেইফ করে ১২ কেজি ওজনের বড় আকারের টিউমারটি অপসারণ করেছি। এবং টিউমারটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বায়োপসি টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। রোগী বর্তমানে সুস্থ আছেন। বায়োপসি রিপোর্ট আসা পর্যন্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন। তিনি বলেন, এই ধরনের টিউমার রোগী বেশিদিন বহন করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা এই রোগের করানো হলে রোগীর ঝুঁকির আশঙ্কা কমে যায়। তাই শরীরের কোথাও কোনো চাকা হলে বা পেট ভারী হওয়ার মতো সমস্যা দেখা গেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

শামীম আহমেদ

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD